এবার ইসরাইলের দলে ভিড়ল ইউরোপের দুই দেশ


ইহুদিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কসোভো। অপরদিকে তেলআবিব থেকে জেরুজালেম শহরে নিজেদের দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সার্বিয়া।

শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর এএফপি, রয়টার্স ও মিডল ইস্ট মনিটরের।

চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে সার্বিয়া এবং কসোভোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ওই বৈঠকে একটি অর্থনৈতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুসিক ও কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ হোতি।

এ ব্যাপারে এক ঘোষণার পরপরই শুক্রবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইউরোপের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রথম দেশ হিসেবে জেরুজালেমে নিজেদের দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে কসোভো।

সাম্প্রতিক সময়ে আমি যেমনটা বলেছিলাম, ইসরাইলে শান্তির প্রক্রিয়া এবং স্বীকৃতি আরও বিস্তৃত হচ্ছে এবং আরও অনেক দেশ এ তালিকায় যুক্ত হবে বলে আশা করছি আমরা।’

এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি দেশ জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে নিজেদের দূতাবাস খুলেছে। এর একটি যুক্তরাষ্ট্র, আরেকটি গুয়েতেমালা।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালে তার প্রশাসন তেলআবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস স্থানান্তরিত করে। তবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে।

ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা জেরুজালেম। ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে মেনে রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। কিন্তু তেলআবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করেছে ইসরাইল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসরাইলের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্কোন্নয়নে সম্প্রতি জোর তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি এখন ট্রাম্পের এক গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে শক্তিশালী ইহুদি লবিকে পাশে পেতেই ট্রাম্প প্রশাসনের এই দৌড়ঝাঁপ। তারই অংশ হিসেবে গত মাসে (১৩ আগস্ট) ইসরাইল ও আমিরাতের মধ্যকার ‘সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ’ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

আগামী তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ইসরাইলে দূতাবাস খুলবে বলেও জানিয়েছে আমিরাত। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জারেড কুশনার।

এখন বিশ্বের অন্য মুসলিম দেশগুলোর কাছেও ধরনা দিচ্ছেন মার্কিন কূটনীতিকরা। তবে অনেক দেশই ট্রাম্প প্রশাসনকে বিমুখ করেছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *