ভালোর প্রশংসা তেল নয় প্রেরণা , স্যালুট_বাবলা


প্রিয় বোনের ধর্ষণ কাহিনি এই বাবালা চৌধুরীই নাকি ধামাচাপা দিতে দেন নি। সকল আসামীর নাম নাকি তিনি বলেছেন, তার নায়কি ভূমিকাই এদের বিচারের মুখোমুখি করেছে ।

এভাবেই একটু সাহস করতে হবে, আপনার একটু সাহস রক্ষা করবে একটি ভয়াবহতা থেকে, লজ্জা থেকে বাচঁবে সমাজ, দেশ, ব্যক্তি, পরিবার…

সিলেটে স্বামীকে জিম্মি করে স্ত্রী’কে গণধর্ষণ করা ছয়জন ছাত্রলীগের কর্মীকে আপাতত সারা বাংলাদেশ চেনে। এই চেনানোটা জরুরী ছিলো।

এবার এই লোকটাকেও চেনানো জরুরী।
ছবিতে থাকা মানুষটির নাম মিহিত গুহ চৌধুরী বাবলা। তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি স্থানীয়ভাবে বাবলা চৌধুরী নামেই পরিচিত।

এই যে সিলেটে ধর্ষণকারীদের নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় হচ্ছে সেই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম রুখে দাঁড়িয়েছেন। মেয়েটি ও তার স্বামী যখন কাঁদতে কাদতে যাচ্ছিল, তার সাথে পথে দেখা, তিনি ঘটনা শুনলেন এবং বললেন এমন জঘন্য ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। এদের ছাড় দেয়া উচিত হবে না। বলেই বাবলা ফোন দেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। তবে পুলিশ আসার আগেই ওই নির্যাতিতা ও তার স্বামীকে নিয়ে ছাত্রাবাসের দিকে রওয়ানা দেন বাবলা। সাইফুর-রবিউল এর কাছ থেকে গাড়ির চাবি উদ্ধার করেন। গেইটে দাঁড়িয়ে পুলিশের অপেক্ষা করেন। পুলিশ আসে, এবং কয়েকজন নেতা ও নাকি সেখানে আসে। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন,
তর্ক হয়, মীমাংসা করতে চান অর্থের বিনিময়ে। কিন্তু বাবলা অনড় ছিলেন রাজী হননি। বাবলা বলেছিলেন তাদের ছাড় দেয়া উচিত হবে না। তিনি নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান। মেয়েটি ও তার স্বামী ধর্ষণকারীদের ফেইস চিনলেও নাম জানতেন না। বাবলাই বলে দেন তারা কারা। এবং বলেন তাদের বিচার হওয়া উচিত। আসলে মানুষ মানুষের পাশে থাকলে অপরাধ করতে ও অপরাধীরা চিন্তা করবে।
বাবলার মত মানুষরা এভাবে পদক্ষেপ নিলে মেয়েরা সমাজে চলতে ভয় পাবে না।

বাবলাদেরকেও চিনে রাখুন। এরাও ছাত্রলীগের প্রোডাক্ট। ছাত্রলীগে যেমন ধর্ষক আছে তেমন ধর্ষণের প্রতিবাদকারী বাবলারাও আছে। বাবলা’দেরকে ধন্যবাদ দিন। বাবলাদেরকে তাদের কাজের জন্য প্রাপ্য বাহবা টুকু দিন।

“যে নারী দেখতে কালো তার চলন বাঁকা” এই যুক্তিতে ছাত্রলীগের কেউ ভালো কাজ করলে সেই ভালো কাজটাকে বাঁকা চোখে দেখাটাও অপরাধ।
যার যা প্রাপ্য তাকে সেটা দিন।

ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানবেন বাবলা চৌধুরী।

,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *