মিশিগানে করোনায় মৃত্যু ৭ হাজার ছাড়াল, মুত্যু, সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি বেড়েই চলেছে, ২৬ টি স্কুল ও কলেজে নতুন করে করোনা সংক্রমণ


যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে গত এক সপ্তাহে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও  হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে রাজ্যের চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গত শনিবার ১৭ অক্টোবর মিশিগানে ২৪ ঘন্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৯১ জন। আগের দিন ১৬ অক্টোবর আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৫ জন, ১৫ অক্টোবর আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩০ জন।  রাজ্যে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ১০ জনের  আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৭ জন।

এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩৯ জন।  মিশিগান স্টেট সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এক সপ্তাহে মিশিগানে ১০ হাজার ২৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।  গত সাতদিনে গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৪৬৩ জন রোগী আক্রান্ত হয়েছেন।

মিশিগানের চিফ মেডিকেল এক্সিকিউটিভ জে. খালদুন গত ১৩ অক্টোবর রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদেরে এক বৈঠকে বলেছেন এটি খুব সম্ভবত দ্বিতীয় ঢেউ, গত সপ্তাহে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ও হাসপাতালে ভর্তির উর্ধ্বমূখী প্রবণতায় তিনি খুবই উদ্বিগ্ন।

শীতের আবহাওয়ার জন্যে মানুষ ঘরের ভিতর ঘন ঘন জড়ো হওয়া, সামাজিক অনুষ্ঠান, স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে করোনা রোগী বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন।  মিশিগান হেলথ এন্ড হসপিটাল এসোসিয়েশনের সিইও ব্রায়ান পিটার্স জানান, গত কয়েক সপ্তাহে হাসপাতালে রোগী ভর্তির পরিমান যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা গত গ্রীষ্মের পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মিশিগানে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মিশিগানের ২৬ টি স্কুল ও কলেজ থেকে নতুন করে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।  এরমধ্যে সর্বাধিক ২১ জন কালামাজো কলেজে আক্রান্ত হয়েছেন বলে মিশিগান স্বাস্থ্য ও সমাজ সেবা বিভাগ সুত্রে  জানা গেছে।  রাজ্যে এ পর্যন্ত ৮০ টির বেশী স্কুল ও কলেজে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশান ২০০ ধরণের ( 200 products) হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এফডিএ পরিক্ষা করে কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজারে গুরুতর উপাদান পেয়েছে যা সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক। 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *