বাংলা সংবাদ ডেস্ক: একাদশে সুযোগ না পেলেও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্টে পাঁচ দিনের উত্তেজনা, উৎকণ্ঠা, রোমাঞ্চ সবই সামনে থেকে দেখেছেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম। তাকে মুগ্ধ করেছে সাদা পোশাকের ক্রিকেট। পাল্লেকেলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টটি নিষ্প্রাণ ড্র হয়। তারপরেও টেস্ট ক্রিকেটের মজা পেয়েছেন শরীফুল। এখন অপেক্ষা করছেন, কবে তিনি জাতীয় দলের একাদশে ডাক পান।
নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেকের পর চলতি সফরে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে সুযোগ হয় শরিফুলের। তবে সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশে সুযোগ পাননি। সুযোগ না পেলেও শরিফুল বুঝতে পেরেছেন, পাঁচ দিনের টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিটি সেশনেই কঠিন লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। ব্যাটসম্যান হলে তাকে রানের জন্য ক্রিজে সংগ্রাম করতে হয়, বোলার হলে উইকেটের জন্য মরিয়া থাকতে হয়।
আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বর্ডের (বিসিবি) পাঠানো একটি ভিডিওতে শরিফুল বলেন, ‘আগে আমি টেস্ট এত কাছাকাছি থেকে কখনও দেখিনি, এটা আমার জন্য খুব আনন্দের ছিল। টেস্ট ম্যাচ আসলেই একটি মজাদার খেলা। প্রতি সেশনে-সেশনে ম্যাচের চিত্র পরিবর্তন হয় এবং বার-বার বার্তা প্রেরণ করা হয়। ডাগআউট থেকে এগুলো দেখার পরেও আমার মনে হয়নি, আমি ম্যাচের বাইরে আছি। আমার সবসময় মনে হয়েছিল, আমি এই ম্যাচটি খেলছি।’
শরিফুলের কাছে টেস্ট ক্রিকেট যেমন আনন্দের, তেমনি উত্তেজনাপূর্ণ আবার কঠিনও বটে। তিনি বলেন, ‘টেস্ট খেলাটি কিছুটা কঠিন, যে পরিবেশে ম্যাচটি হয়েছে তা সত্যিই কঠিন। তাপ বেশি ছিল, পেসারদের ঘন ঘন পানির প্রয়োাজন ছিল। সব মিলিয়ে দেখে মনে হচ্ছিল, তারা একটু মজা পেয়েছে এবং সমস্যাও ছিল। তবে সমস্যাগুলো ম্যাচেরই অংশ। এটি আমাদের হাতে নেই। তবে ম্যাচ জিততে আমাদের ভাল করতে হবে।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী শরিফুল জানান, টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে, নিজের সেরাটা উজার করে দcবেন, ‘সেরা একাদশে সুযোগ পেলে আমি আমার সেরাটা দিব। আসলে আমি যখন খেলতে শুরু করেছি, আমি ভেবেছিলাম, তিন ফরম্যাটেই খেলব। আমার শৈশব কোচও টেস্ট খেলোয়াড় ছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেটই আসল খেলা। নিজেকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন আছে। কখনও টেস্ট খেলার সুযোগ পেলে ভাল করতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’