সিলেট নগরীর যেসব স্থানে হবে পশু কোরবানি


ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেট নগরীর পশু কোরবানির জন্য সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে ২৮টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেওয়ার জন্য নগরবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মীরের ময়দান এলাকার অর্ণব ৩০ নম্বর বাসার সামনের খোলা জায়গা, ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন মেডিকেল কলোনি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার গার্ডেন কাজলশাহ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মজুমদারি পুকুরপাড়, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়াডের্র জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়–সংলগ্ন মাঠ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এতিম স্কুলের জবাইখানা বাগবাড়ি।

১০ নম্বর ওয়ার্ডে পিডিবি কোয়ার্টার নবাব রোড, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে লালাদীঘির পাড় কাউন্সিলর কার্যালয়ের পেছনে, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে শেখঘাট কাউন্সিলরের বাসাসংলগ্ন মাঠ, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাজীর বাজার মাদ্রাসামাঠ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ছড়ার পাড় কাউন্সিলরের কার্যালয়–সংলগ্ন মাঠ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মিরাবাজার শাহজালাল জামেয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সওদারটুলা মাঠ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাজীটুলা কাউন্সিলরের বাসাসংলগ্ন মাঠ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কুমারপাড়া মেয়রের বাসা সামনের মাঠ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড দপ্তরিপাড়া মসজিদসংলগ্ন স্থান।

২০ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হাতিম আলী (রহ.) উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হাতিম (রহ.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে শাহজালাল উপশহর এ ব্লক রোড নং-৭ ও ই ব্লক খেলার মাঠ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাছিমপুর কাউন্সিলর কার্যালয়, ২৪ নম্বর কুশিঘাট বুরহান উদ্দিন মাজারসংলগ্ন কাউন্সিলরের বাসার পাশের স্থান, ২৫ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাসাসংলগ্ন বঙ্গবীর রোড, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কদমতলী কাউন্সিলরের বাসাসংলগ্ন স্থান ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে খানবাড়ি পাঠানপাড়া কাউন্সিলরের বাসাসংলগ্ন স্থানে পশু কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিটি করপোরেশন। কোরবানির পশু বিক্রি ও কোরবানির পশু জবাইয়ে উৎপাদিত বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী রাস্তাঘাটে কোরবানি না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কোরবানির বর্জ্য নর্দমা, ছড়া বা খালে না ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া যত্রতত্র না রেখে বাসাবাড়িতে পশুর চামড়া রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এবার বর্জ্য অপসারণ কাজে প্রায় ২ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী নগরজুড়ে কাজ করবেন এবং ৩ স্তরে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থার কথা জানান মেয়র।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *