২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বাংলাদেশের ৭ থেকে ৮ কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কারণ মর্ডানা এবং সিনোভ্যাক টিকার দ্বিতীয় ডোজ সরকারেরর কাছে মজুদ রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২১ আগস্ট অ্যাস্ট্রেজেনিকার টিকা এসেছে। এ মাসের শেষে ফাইজারের টিকার ৬০ লাখ ডোজ আসার কথা। এ মাসের শেষে চীনের সিনোফার্মে ১০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসবে।
টিকার সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ১০-১৫ দিনে ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমাদের কাজ হয়েছে এবং অনেক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। চীনে নতুন করে ছয় কোটি ডোজের জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তার আগে দেড় কোটির অর্ডার ছিল, মোট সাড়ে সাত কোটি।
“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে অফার দেওয়া হয়েছে, আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবো কিনা। সেগুলো আমাদের কিনে নিতে হবে। আমরা সেখান থেকে তিন কোটি সিনোফার্ম টিকা পাবো। আরও সাড়ে সাত কোটি ফাইজারের টিকা বিনামূল্যে আসবে।”
“যেভাবে টিকার প্রতিশ্রুতি ডব্লিউএইচও থেকে পেয়েছি তাতে আগামীতে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের খুব একটা অভাব দেখা দেবে না। আমরা ১৬ কোটি ভ্যাকসিন পেয়ে গেলে আট কোটি মানুষকে দিতে পারবো। এগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে আসার কথা। এছাড়া কোভ্যাক্স থেকে কিছু বিনামূল্যে আসবে। আমরা আশা করি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৭-৮ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করতে পারবো। আরও বেশিও করে ফেলতে পারি।”