আফগানিস্তানে নতুন সরকার ঘোষণা করল তালেবান


মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান।

মঙ্গলবার ঘোষিত এই নতুন সরকারে অন্তর্বর্তী সরকারের উপ-প্রধান হিসাবে তালেবান গোষ্ঠীর সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারের নাম ঘোষনা করা হয়েছে।

আর ২০১৬ সাল থেকে তালেবান গোষ্ঠীর অন্যতম উপনেতা মোল্লা ইয়াকুব তত্ত্বাবধায়ক প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

রাজধানী কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ নতুন সরকারের মন্ত্রীদের নাম জানিয়েছেন।

হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে এবং নেটওয়ার্কটির প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে। এই হাক্কানি নেটওয়ার্ক যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসের কালো তালিকাভুক্ত।

সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ের ‘মুজাহিদ’ নেতা জালালুদ্দিন হাক্কানির ছেলে হলেন সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। গত কয়েক বছরে কাবুলে যে কয়টি বড় ধরনের আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে, তা হাক্কানি নেটওয়ার্কেরই চালানো বলে মনে করা হয়।

আফগান কর্মকর্তাদের হত্যা, বিদেশি সৈন্যদের অপহরণের অভিযোগও রয়েছে এই দলটির বিরুদ্ধে। হাক্কানির মাথার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ ডলার পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে।

তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, নতুন সরকারে নিয়োগ পাওয়া সবাই ভারপ্রাপ্ত হিসাবে কাজ করবেন।

মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে যে তালেবান আড়াই দশক আগে আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিয়েছিল; বিদেশি সেনাদের আক্রমণে পাঁচ বছরের মধ্যে ক্ষমতা হারাতে হলেও নতুন নেতৃত্বের অধীনে দুই দশক পর আবার দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা সেই প্রয়াত মোল্লা ওমরের সহযোগী মোল্লা হাসান আখুন্দকেই এবার সরকারের প্রধান করা হয়েছে। তালেবান নেতা হিসাবে তিনি তেমন সুপরিচিত না হলেও জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় তার নাম আছে।

মোল্লা হাসান আখুন্দ বর্তমানে তালেবানের প্রভাবশালী সিদ্ধান্ত-গ্রহণকারী পরিষদ ‘রেহবারি শুরা’ বা নীতি-নির্ধারণী পরিষদের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধ ‍শুরুর আগেও হাসান তালেবান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *