একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গঠনমূলক কিছু করার সময় হলো হাইস্কুল জীবন। শিক্ষার্থীরা অনেক বিষয়ের উপর আগ্রহ নিয়ে তাদের হাইস্কুল জীবন শুরু করে। এ সময় তারা অনেকের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করে। যা সারা জীবন ধরে থাকে। তাছাড়া এ সময় অনেকেই নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্ন দেখা শুরু করে।
হাই স্কুলের শিক্ষা জীবন থেকে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মানবিক গুণের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য অভিভাবকের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য অভিভাবকদের উচিত শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি তাদের আগ্রহের বিষয়ের উপর উৎসাহ এবং উদ্দীপনা দেওয়া। যাতে করে তারা যা করতে চাই, সেটি যেন আগ্রহের সাথে করতে পারে।
১. শিক্ষার্থীর নিজের উপর আস্থা
হাই স্কুলের শিক্ষা জীবনের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী জানার জন্য বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করে থাকে। নিজের জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে বিচার বিবেচনা করতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে নিজের উপর আস্থা অর্জন করে। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী থেকে অন্য শিক্ষার্থীর বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা কিছুটা ভিন্নতা লক্ষিত হয়।
২. প্রতিটি শিক্ষার্থীর আগ্রহের বিষয় নির্দিষ্ট করা
হাই স্কুল শুধু পাঠ্যসূচির উপর পড়াশোনা করা নয়। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, পাঠ্যসূচির বাইরের বিভিন্ন বই-পুস্তক পড়া, ভ্রমণ করা, বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ এবং আরও অনেক কিছু করে থাকে।
৩. জাগতিক জ্ঞান
হাই স্কুল শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ এবং বিশ্ব ইতিহাস সম্পর্কে পড়াশোনার মাধ্যমে জাগতিক জ্ঞান অর্জন করে। সেইসাথে শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে এবং এটি পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
৪. নতুনত্ব জানার কৌতূহল
শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণিকক্ষে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসার মাধ্যমে নতুনত্বকে জানতে চাই। নতুনত্ব জানার কৌতূহল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে কথোপকথনের সুযোগ সৃষ্টি করে।
৫. ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা
প্রতিটি শিক্ষার্থী আলাদা। একজন শিক্ষার্থী লাজুক বা স্পষ্টভাষী যাই হোক না কেন, হাইস্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় সে তার নিজের পথে নেতৃত্ব দিতে শিখে থাকে। যখন সে তার হাই স্কুল জীবন শেষ করে, তখন ভবিষ্যতে নিজের জীবনের নেতৃত্ব দেওয়ার সকল দক্ষতা অর্জন করে।