থ্রি জিরো ক্লাবের বিশ্ব ওজোন দিবস উদযাপন


থ্রি জিরো ক্লাবের বিশ্ব ওজোন দিবস উদযাপন

শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ, দারিদ্র্য দূরীকরণে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং সবার জন্য উদ্যোক্তা প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টিকরে শূন্য বেকারত্বের একটিতিন শূন্য পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে গঠিত থ্রি জিরো ক্লাবের (০৫০০২০০০১) উদ্যোগে ১৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) উদযাপিত হলো বিশ্ব ওজোন দিবস। এবারের প্রতিপাদ্যে বিষয় ছিলো ‘Montreal Protocol-Keeping us, our food and vaccines cool’ অর্থাৎমন্ট্রিল প্রটোকল মেনে ওজোনস্তর রক্ষা করিনিরাপদ খাদ্য প্রতিষেধকের শীতল বিশ্ব গড়ি দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম হাওর হাকালুকি হাওর তীরের বিদ্যাপীঠ হাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ ওজোন দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন থ্রি জিরো ক্লাবের কী পারসন আবুল কাসেম, ব্যবসায়ী সমাজসেবক কামরুল ইসলাম, হাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ চক্রবর্ত্তী, হাকালুকি ক্যাম্পের সমন্বয়ক শিক্ষক মৃণাল কান্তি দাস, সহকারি শিক্ষক নারদ চন্দ্র দাস, সহকারি শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম, মাছরাঙা জনসংযোগ কর্মকর্তা রাজেশ দেব নাথ, থ্রি জিরো ক্লাবের ডেপুটি কী পারসন জামিদুল ইসলাম নাহিদ থ্রি জিরো ক্লাবের মেম্বার সৌরভ চন্দ্র দাস।

বক্তারা বলেন, ‘ওজোন স্তরের সুরক্ষায় সিএফসি গ্যাস নির্ভর শীতলীকরণ যন্ত্রের ব্যবহার কমাতে জনসাধারণকে সচেতন করা অপরিহার্য। করোনাভাইরাস মহামারি সমগ্র বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেললেও আমরা দেখেছি বায়ুদূষণ কমানোর মাধ্যমে ওজোন স্তর পুনর্গঠনে এই সময়টা বেশ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। বায়ুমণ্ডলীয় ওজোন ক্ষয়কারী মানবসৃষ্ট দ্রব্যগুলোর উৎপাদন ব্যবহার রোধ এবং সেই সঙ্গে অত্যাধুনিক বিকল্প প্রযুক্তির সন্নিবেশ করলেই পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যকে সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বায়ুমণ্ডলের ওজনস্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজনস্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। দিবসটির স্মরণে ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৬ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। মূলত ওজন স্তরের ক্ষয় এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে দিবসটি পালন করা হয়।

২০৪০ সাল নাগাদ প্রটোকলে অন্তর্ভুক্ত সবদেশে ক্ষতিকর গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে।

থ্রি জিরো ক্লাবের বিশ্ব ওজোন দিবস উদযাপন

বায়ুমণ্ডলের ওজনস্তর সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে প্রতিনিয়ত ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (সিএফসি) গ্যাসসহ অন্য ওজনস্তর ক্ষয়কারী গ্যাস উৎপাদন ব্যবহারের ফলে ওজনস্তর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ওজোনস্তর রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়নজনিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও মন্ট্রিল প্রটোকল উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য ঔষধ সামগ্রী সংরক্ষণে ব্যবহৃত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও হিমায়ন যন্ত্রে উন্নত পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। এছাড়া করোনা মহামারি মোকাবিলায় প্রতিষেধক সংরক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তির হিমায়ন যন্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম।

পৃথিবীর সকল জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং মানবস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওজোনস্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব ওজোন দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ছবি: হাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ করছেন হাকালুকি ক্যাম্পের সমন্বয়ক ও শিক্ষক মৃণাল কান্তি দাস

থ্রি জিরো ক্লাবের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার অংশগ্রহণে বাসযোগ্য সবুজ পৃথিবী গড়তে হাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করা হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *