বিশ্ব হার্ট দিবস: হৃদয় দিয়ে হৃদযন্ত্রের যত্ন নিন


হৃদয় দিয়ে হৃদযন্ত্রের যত্ন নিন- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস।

এ দিবসে জেনে নেওয়া যাক শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ট ভালো-সুস্থ রাখার উপায়।

হার্ট ভালো রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা। তবে ঠিক কতটা শরীরচর্চা প্রয়োজন এটা অনেকেই জানি না।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হার্টের অসুখ হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। আমাদের হার্ট ভালো রাখতে শরীরচর্চার বিষয়টি সব ক্ষেত্রেই গুরুত্ব দিতে হবে।

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অ্যাপিডেমিওলজিস্ট ডক্টর টেরেন্স ডয়ার দেখেছেন, যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাদের মধ্যে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম!

ডয়ারের বক্তব্য, দিনে ২ ঘণ্টা বা সপ্তাহে ১১০০ মিনিট হাঁটাহাঁটিকে একটা নির্দিষ্ট মানদণ্ড বলে ধরে নেওয়া যায়। আবার যারা সক্রিয়ভাবে শরীরচর্চা করেন, তাদের ক্ষেত্রে দিনে ৫০ মিনিট যথেষ্ট।

তবে হার্টের সুস্থতার জন্য শরীরচর্চা যেমন প্রয়োজন। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত পরিশ্রম বা অতিরিক্ত শরীরচর্চা কিন্ত হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ হার্ট অতিরিক্ত ধকল সহ্য করতে পারে না।

হার্ট অ্যাটাককে চিকিৎসার ভাষায় করোনারি থ্রমবোসিস বলা হয়। এটা মাংসপেশিগুলোর একটা অংশে রক্ত যোগান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে পড়ার পরিণাম। আর রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতেও প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম করা বা অ্যাক্টিভ থাকা।

জেনে রাখা ভালো, পেট ভরে ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে, হঠাৎ রেগে উঠলে বা অত্যধিক দুঃখ পেলে, মানসিক আঘাত বা মানসিক চাপে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক সকালের দিকে বেশি ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ ফ্যাটযুক্ত ব্লকেজ বেড়ে ওঠা। যদি ব্লকেজকে বাড়তে না দেওয়া হয়, তাহলে আবরণ ঝিল্লি কখনোই ফাটবে না।

জীবনযাপন পদ্ধতিকে পাল্টে নেন, তাহলে হার্ট অ্যাটাক আর হতেই পারবে না।  এজন্য নিয়মিত ব্যায়াম,  যোগ, শারীরিক ওজন কম করা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাও খুব জরুরি।

এছাড়া শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি, ফল ও সবজিও খেতে হবে।

শরীরে যেকোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *