পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে, ক্রিকেটার নাসির হোসেন এবং বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিয়ের বৈধতা মেলেনি।
তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানের দায়ের করা এক মামলার অভিযোগপত্রে এমন তথ্য দিয়েছে পুলিশের এই তদন্ত সংস্থা।
পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগপত্রে নাসির ও তামিমার পাশাপাশি তামিমার মা সুমি আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম।
অভিযোগপত্রে তামিমার বিরুদ্ধে বিচ্ছেদ না করেই নতুন বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয়েছে । আর নাসিরের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ‘অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ’ করে নিয়ে যাওয়া, ‘ব্যাভিচার’ এবং তামিমার আগের স্বামীর মানহানি ঘটানোর অভিযোগ।
আর সব ‘জেনেও’ বিয়েতে সহায়তা করায় তামিমার মাকেও অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ।
তিনি বলেন, “তালাক যথাযথভাবে হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে। তাদের বিয়ের বৈধতা পাওয়া যায়নি। ডাক বিভাগ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে তালাকের নোটিস পাঠানোর যে দাবি তারা করেছেন, তা সঠিক নয়।”
রাকিব হাসানের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে বৃহস্পতিবার পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়।
“আমরা তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছি। বিচারক এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।”
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ওইদিনই নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে ঢাকার হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন মো. রাকিব হাসান।
তার বক্তব্য শুনে ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আর্জিতে তামিমার বয়স ২৯ এবং রাকিবের বয়স ৩২ বছর লেখা হয়েছিল। আর ক্রিকেটার নাসিরের বয়স দেখানো হয় ৩০ বছর।
রাকিব সেখানে বলেন, তামিমার সঙ্গে তার বিয়ে হয় ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে।
তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু, একটি বিদেশি এয়ারলাইন্সে তিনি কাজ করেন। পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে গতবছর মার্চে সৌদি আরবে গিয়ে তিনি লকডাউনে আটকা পড়েন। তবে ফোন ও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে রাকিবের ভাষ্য।