হজমশক্তি বাড়াতে চাইলে …


সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য হজম শক্তি স্বাভাবিক রাখা প্রয়োজন। যাদের হজমশক্তি ভালো, তারা অনেক রোগ-ব্যধি থেকে মুক্ত থাকেন এবং সুস্থভাবে জীবনযাপন করেন।

মাঝে মাঝে অনেকের হজমের সমস্যা দেখা যায়। যার ফলে তারা শারীরিকভাবে অস্বস্তিতে ভোগেন। সাধারণ হজমের সমস্যার মধ্যে রয়েছে: পেটে অস্বস্তি, অম্বল, বমি বমি ভাব, গ্যাস, পেট ফোলা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া ইত্যাদি।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস এবং বিশৃংখল জীবনযাপনের কারনে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস এবং শৃংখল জীবনযাপনের পাশাপাশি একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিন।

পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করতে পারেন। যা আপনার হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে দীর্ঘস্থায়ী হজম শক্তির উন্নতির জন্য অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকা বা জীবনধারা পরিবর্তনের প্রয়োজন।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন 

পর্যাপ্ত বিশ্রামের সাথে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। কর্মব্যস্ততার পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে এটি বদহজম এবং পেটে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সুতরাং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। বিশেষ করে খাওয়ার আগে এবং পরে।

পুদিনা চা পান করুন 

পুদিনা চা বমি বমি ভাব কমানোর জন্য একটি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার। তাছাড়া পুদিনা অম্বল থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য অন্যতম প্রতিকার ব্যবস্থা।

হাঁটাহাঁটি এবং হালকা ব্যায়াম করুন 

প্রতিদিন নিয়মমাফিক হাঁটাহাঁটি এবং হালকা ব্যায়াম হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া এজন্য পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে।

বেশি করে ফাইবার জাতীয় খাবার খান 

ফাইবার জাতীয় খাবার মানবদেহে কোলেস্টেরল কমানো থেকে শুরু করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে হজমের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের তাদের প্রতিদিনের খাবারে প্রায় ৩০ গ্রাম ফাইবার জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। ফাইবারজাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে: শস্য এবং মটরশুঁটি ইত্যাদি।

সর্বোপরি, হজম শক্তি বাড়াতে দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ জল পান করা উচিত।

,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *