বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোভিয়েত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ একটি জাঁকজমকপূর্ণ সভার আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পায়। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলার জন্য সোভিয়েত সরকার বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে। তারা বর্তমানে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রায় সব ক্ষেত্রেই নিয়োজিত রয়েছেন, সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি কোম্পানিতে উর্ধ্বতন পদে অধিষ্ঠিত।
প্রধান বক্তা বেসরকারি খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো যিনি খারকভ স্টেট ইউনিভার্সিটি ও মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে রাশিয়ান বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে বাড়েনি। রুশ পক্ষ উদ্যোগ নিলে তা আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, ওডেসা ন্যাশনাল মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকে মেডিকেল ফ্যাকাল্টিতে ডিগ্রি নিয়ে রাশিয়ায় তার অধ্যয়নকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন যে, উন্নত রাশিয়ান শিক্ষা তার কর্মজীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি আশা করেন যে তার সিটি কর্পোরেশনের ভবিষ্যত উন্নয়ন তার অর্জিত রাশিয়ান উচ্চ শিক্ষার প্রতিফলিত হবে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তাকসেম এ. খান, যিনি পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন, কৃতজ্ঞতার সাথে বলেন, “সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের উন্নতির জন্য আমাদের বৃত্তি দিয়েছে, যার শিক্ষায় আমরা দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তার সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছি। সেজন্য আমরা সবাই রাশিয়ান সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে রাশিয়ান দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর একেতেরিনা সেমেনোভা, ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউসের পরিচালক ম্যাক্সিম দোব্রোখোতোভ এবং রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।