৪১টির বেশী সংগঠনের বিদেশ ফেরত বাংলাদেশিদের পুনরেকত্রীকরণে কাজ করার অঙ্গীকার


বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের ৪১টির বেশী সংগঠন বিদেশ ফেরত বাংলাদেশিদের পুনরেকত্রীকরণে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিশ্রুতিপত্রও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ প্রতিশ্রুতিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমপিডি) আয়োজিত ‘পাবলিক-প্রাইভেট সেক্টর পার্টনারশিপ ফর রি-ইন্টিগ্রেশন ইন বাংলাদেশ (পিপিপি)’ শীর্ষক প্রথম পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৪২ টিরও বেশি সংগঠন প্রতিশ্রুতিপত্রে স্বাক্ষর করে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইমরান আহমদ বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার প্রথম কাজ ছিল- সব অংশীজনদের একসাখে নিয়ে আসা। হয়তো এ কারণেই আজকে আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। যদি আমরা যার-যার ক্ষেত্রে আলাদা-আলাদা কাজ করি, তাহলে একসঙ্গে মিলিত হওয়া কখনই সম্ভব হবে না। এজন্য এই পাবলিক প্রাইভেট অংশীদারিত্ব সিস্টেম শুরু হল এবং আমি আশা করি এটি সফল হবে। একসঙ্গে কাজ করলে আমরা অভিবাসী কর্মীদের জন্য কিছু একটা করতে পারবো।’

তিনি এ সময় বিদেশ থেকে আগত অভিবাসীদের কল্যাণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বাংলাদেশে এই প্রথম সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে যৌথ একটি ‘প্লাটফর্ম’ তৈরির উদ্যোগ নেয়ায় সহযোগি সংস্থা ইউরোপিয়ান রিটার্ন অ্যান্ড রি-ইন্টিগ্রেশন নেটওয়ার্ক (ইআরআরআইএন), আইসিএমপিডি এবং দাতা সংস্থা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে (ইইউ) ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে আইসিএমপিডি’র সিল্ক রুট রিজিওনের প্রধান সেডেফ ডিয়ারিং বলেন, বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীরা ফেরত আসছে। করোনার কারণে এমনটি হয়েছে। এখন ফিরে আসার হার কমেছে তবে অনেক অভিবাসী কর্মী কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাদের প্রথম প্রত্যাশা হচ্ছে অর্থনৈতিক পুনরেকত্রীকরণ।

অনুষ্ঠানে আগত বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বিদেশ ফেরত বাংলাদেশিদের সফল পুনরেকত্রীকরণের জন্য নিজ-নিজ অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেন। অন্যান্যের মধ্যে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যূরো’র  মহাপরিচালক মো: শহীদুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, ইআরআরআইএন’র প্রজেক্ট ম্যানেজার মারিয়ান উলব্রিচট ও আইসিএমপিডি’র বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ক্যাপ্টেন (অব:) ইকরাম হোসেন এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *