ঘূর্ণিঝড়ের আগে যেসব খাবার সংরক্ষণ করবেন


ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগে কিছুটা সময় পাওয়া যায় নিরাপদ থাকার ব্যবস্থা করার জন্য। কারণ ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে ও ধেয়ে আসতে কিছুটা সময় নেয়। আবহাওয়াবার্তার বদৌলতে আমরা তা আগেভাগেই জানতে পারি। তাই আগে থেকে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে বিভিন্নরকম সংকট দেখা দিতে পারে। খাদ্য সংকট তার মধ্যে অন্যতম। আমরা সচেতন হলেই এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর বেশকিছু শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণ করে রাখতে পারলে এই সংকট কাটানো সম্ভব-

মুড়ি
শুকনো খাবারের মধ্যে মুড়ি সহজলভ্য তাই এটি সহজেই সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে পারবেন। তাই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুড়ি সংরক্ষণ করুন।

চিড়া
মুড়ির মতো চিড়াও বেশ সহজলভ্য এবং এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে সক্ষম। তাই ঘূর্ণিঝড়ের আগে শুকনো খাবার হিসেবে চিড়া সংরক্ষণ করুন।

খই
মুড়ি-চিড়ার পাশাপাশি সংরক্ষণ করতে পারেন খই। একটি বাষ্পরুদ্ধ জারে বা মুখ আটকানো পলিথিনে খই সংরক্ষণ করুন।

খেজুর
শুকনো ফলের মধ্যে খেজুর সংরক্ষণ করতে পারেন। এটি সহজে নষ্ট হবে না এবং আপনাকে দ্রুত শক্তি দেবে।

বিস্কুট
বিভিন্নরকম বিস্কুট সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে বিস্কটু কেনার আগে দেখে নিন তার মেয়াদ আছে কি না এবং মানসম্মত কি না। নয়তো মানহীন বা মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট খেলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গুড়
শুধু মুড়ি বা চিড়া খেতে ভালো নাও লাগতে পারে। তাই সংরক্ষণ করতে পারেন গুড়। গুড়ের শরবত খেলেও তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি সতেজ থাকা যাবে। গুড়ের পাশাপাশি চিনিও রাখতে পারেন।

বাদাম
আরেকটি শুকনো ফল বাদাম রাখতে পারেন। যেসব বাদাম সহজলভ্য সেগুলোই সংরক্ষণ করুন। বিপদে কাজে লাগবে।

বিশুদ্ধ পানি
শুকনো খাবারের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণও জরুরি। কারণ ঘূর্ণিঝরের পড়ে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিতে পারে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *