মোস্তাফিজকে নিয়ে চিন্তিত নন রোডস


ক্রীড়া ডেস্ক :: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ১০ ওভারে ৯৩ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে ১০ ওভারে ৮৪- সবশেষ দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নিলেও মোট ২০ ওভার বোলিং করে ওভারপ্রতি ৮.৮৫ গড়ে ১৭৭ রান খরচ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান।

যা কিনা বড্ড বেমানান কিপটে বোলিংয়ের জন্য বিখ্যাত মোস্তাফিজের নামের পাশে। পুরো ক্যারিয়ারে যেখানে মাত্র ৪.৮১ গড়ে রান খরচ করেছেন সেখানে শেষ দুই ম্যাচে দিয়েছেন প্রায় ৯ করে। মাত্র দুই ম্যাচ দেখেই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়, তবু দলের সেরা অস্ত্র পরপর দুই ম্যাচে বিবর্ণ থাকলে ভয় ঢুকেই যায় যে কারো মনে।

তা থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভক্ত-সমর্থকরাও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে মোস্তাফিজ যখন বেধড়ক মার খাচ্ছিলেন তখন অনেককেই বলতে দেখা গেছেন ‘হারিয়ে গেছেন মোস্তাফিজ’, ‘আর পাওয়া যাবে না দ্য ফিজকে’- বলা বাহুল্য এসব কথার ভিত্তি নেই বললেই চলে। তবু যেহেতু সমালোচনা চলেই আসে তখন জানতে হয় দলের ভাবনাও।

তাই বৃহস্পতিবার টাইগার কোচ স্টিভ রোডসের শরণাপন্ন হওয়া মোস্তাফিজের ব্যাপারে তার মূল্যায়ন জানতে। আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে বাতিল হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করলেও, মোস্তাফিজের প্রসঙ্গ আসতেই প্রচণ্ড আশাবাদী এ ইংলিশ কোচ। তার মতে দ্য ফিজকে নিয়ে চিন্তার কিছু ঘটেনি। এখন শুধু তার গতিটা বাড়লেই আগের ভয়ানক মোস্তাফিজকে দেখা যাবে।

রোডস বলেন, ‘মোস্তাফিজের বোলিং নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। ও দারুণ ওয়ানডে বোলার। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, বিশ্বের সেরা পাঁচ বোলারের একজন ছিল ফিজ। বাংলাদেশের খুব বেশি বোলার অত দূর গেছে বলে শুনিনি। আগের ম্যাচেও ওর কিছু বল প্রচণ্ড গতিতে জমা পড়েছে কিপারের গ্লাভসে। যদি গতিটা এমন বাড়াতে পারে, তবে আগের ফিজকেই দেখতে পাবেন।’

শুধু কোচ নন, মোস্তাফিজ পাশে পেয়েছেন ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ম্যাচের পরদিনই মোস্তাফিজের সামনে ঢাল হয়ে দাড়িয়েছেন সাকিব। যথাযথ ব্যাখ্যাসহ বুঝিয়ে দিয়েছেন ডেথ ওভারে বোলিং করতে আসলে ইকোনমি রেট নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ থাকে না খুব একটা।

সাকিবের ভাষ্যে, ‘শুধু তো মোস্তাফিজের রান দেওয়াটা দেখলে হবে না। ও কোথায় বোলিং করছে, সেটাও দেখতে হবে। বাকিরা তো ডেথ ওভারে এত বেশি বল করে না। এটা কিন্তু বুঝতে হবে। শেষ ১০ ওভারে ওর জন্য ৪ ওভার রাখা হয়। ওই ৪ ওভারে সাধারণ হিসাবে ধরা হয় কেউ যদি ৩৫ রানের কম দেয়, তাহলেই সে ভালো বোলার। এর আগে ৬ ওভারে ও যদি ৩০ রানও দেয়, শেষের ৩৫ যোগ করলে এমনিতেই তো ৬৫ রান হয়ে গেল। প্রতিটা খেলোয়াড়েরই দলে একেকটা ভূমিকা নির্দিষ্ট করা আছে। ফলে শুধু স্কোরবোর্ড দেখে একেকজন খেলোয়াড়ের মান যাচাই করলে সেটা ভুল হবে।’