বজ্রপাতে স্যুইচ কক্ষের পাওয়ার কার্ড পুড়ে ১২ দিন ধরে কমলগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনসহ সবগুলো ল্যান্ডফোন বিকল


ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের সময় বজ্রপাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা টিএন্ডটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের স্যুইচ কক্ষের পাওয়ার কার্ড পুড়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে বিগত ১২ দিন ধরে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সবগুলো কার্যালয়সহ উপজেলার বেসরকারী সকল ল্যান্ডফোন বিকল হয়ে পড়েছে বলে জানান কমলগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী । এর ফলে দুর্ভোগের শিকার হয়েচ্ছেন প্রশাসনসহ ল্যান্ডফোন গ্রাহকরা।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জানান, গত ১২ দিন ধরে তাদের বিভিন্ন বিভাগীয় অফিসের ল্যান্ডফোন বিকলের বিষয়টি আসলে তিনি নিজেও জানতেন না। শুক্রবার গণ মাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে জেনে ল্যান্ডফোন তুলে দেখেন সেটি বিকল। পরে তিনি কমলগঞ্জ উপজেলা টিএন্ডটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা রামজীৎ সিংহের সাথে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন ২/১ দিনের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী আরো বলেন, গত ২৯ এপ্রিল থেকে ল্যান্ডফোন বিকল রয়েছে। মুঠোফোনে কথা বলে গেলেও অফিসিয়াল কাজে জেলা অফিস এমনকি ঢাকায়ও কাজ করতে ল্যান্ড ফোন ব্যবহার করতে হয়। এ অবস্থায় তারা দুর্ভোগে আছেন। একই কথা জানান কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তারাও। তিনি জানান, কমলগঞ্জ উপজেলা টিএন্ডটি ফোন এক্সচেঞ্জ তাদের জিানিয়েছেন যান্ত্রীক ত্রæটির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুড়ে যাওয়া পাওয়ার কার্ড অপসারণ করে সেখানে নতুন পাওয়ার কার্ড স্থাপন না করা পর্যন্ত ল্যান্ডফোনগুলি এভাবে বিকল থাকবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা টিএন্ডটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা রামজীৎ সিংহ জানান ঘূর্নিঝড় ফণীর আঘাতের সময় বজ্রপাতে স্যুইচ কক্ষের বোর্ডের পাওয়ার কার্ড পুড়ে গেছে। ফলে কমলগঞ্জ উপজেলার সবগুলি ল্যান্ডফোন বিকল হয়ে গেছে।  আগে কমলগঞ্জ উপজেলা সদরে দুই শতাধিক ল্যান্ডফোনের সংযোগ ছিল। এখন মাত্র ৮২টি সংযোগ আছে। ৮২টি সংযোগই এখন বিকল। তবে ঢাকা থেকে পাওয়া কার্ড আসার পর খুব সম্ভব রোববার আবারও ল্যান্ডফোনগুলি সচল হবে।