ইরানকে মোকাবিলায় ১ লাখ ২০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ইরান আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যুদ্ধাবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইরানকে মোকাবিলায় মধ্যপ্রাচ্যে ১ লাখ ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে সেনা মোতায়েনের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শাহনাহান দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে ইরানে হামলার বিষয়ে তার নতুন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। সেখান থেকেই এমন সিদ্ধান্ত আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদেনে জানানো হয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, সিআইএ পরিচালক গিনা হাসপেল, জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক ড্যান কোটস এবং জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জোসেফ ডানফোর্ড।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে ইরানে হামলার বিষয়ে বিশদভাবে পরিকল্পনা করা হয়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল খুব শিগগিরই এক লক্ষাধিক সেনা মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সামরিক কমান্ডের সঙ্গে যোগদানের ব্যাপারটি।

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, হামলার পরিকল্পনা এবং কতজন সেনা মোতায়েন করা হবে ট্রাম্প নিজেও এমন ঘোষণা দিতে পারেন অথবা তার পক্ষে অন্য কেউ পরিকল্পনা জানাবে।

ইরান হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে চলতি সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান, রণতরী এবং নতুন প্রযুক্তির প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এমন ঘোষণার কয়েকদিনে মাথায় লক্ষাধিক সেনা মোতায়েনের খবর পাওয়া গেল।

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ‘বিশ্বাসযোগ্য ও সুনিদিষ্ট’ গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ইরানে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, মধপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের ওপর ইরান হামলার পরিকল্পনা করছে। তাই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরান অবশ্য বরাবরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরাকে মার্কিন অভিযানের সময় যেরকম ‘ভুয়া গোয়েন্দা তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছিল ঠিক সেরকম করে যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে হামলার চক্রান্ত করছে বলে দাবি তেহরানের।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কার কথা বলে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পরদিন নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *