খাসোগি হত্যা: যুবরাজের বিচার চায় জাতিসংঘ


সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে বিচারের কাঠগড়ায় তুলতে চায় জাতিসংঘ।

এ হত্যাকাণ্ডে যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব সংস্থাটির এক বিশেষ দূত।

বুধবার নতুন একটি প্রতিবেদনে বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের হস্তক্ষেপে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডবিষয়ক বিশেষ দূত ক্যালামার্ড বলেন, ‘একটি ভয়ানক অপারেশনের মাধ্যমে খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি সুচিন্তিত, পরিকল্পিত ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার। এর জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী সৌদি সরকার দায়ী।’ ছয় মাসের তদন্ত শেষে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

ক্যালামার্ড নিরূপণ করেছেন যে এ হত্যাকাণ্ডে বিন সালমানের জড়িত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। যুবরাজসহ শীর্ষ পর্যায়ের সৌদি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত প্রয়োজন।’

ক্যালামার্ড জানান, খাসোগি নিজেই যুবরাজের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন এবং তাকে ভয় পেতেন, সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। যুবরাজের বিরুদ্ধে এ স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুপারিশ করেছেন ক্যালামার্ড।

গত বছরের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাসোগি। সৌদি আরব প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এটি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। তবে তার মরদেহের সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। খাসোগি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক ছিলেন।

তুরস্ক বলছে, সৌদি যুবরাজের নির্দেশে একদল ঘাতক খাসোগিকে হত্যা করেছে। সৌদি আরব খাসোগিকে খুনের জন্য অচিহ্নিত ১১ জনকে শাস্তি দিয়েছে। এদের পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হয়েছে। তবে শাস্তিপ্রাপ্তদের পরিচয় সম্পর্কে তেমন কিছু প্রকাশ করেনি সৌদি সরকার। সৌদির বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক পদ্ধতিগত এবং মৌলিক মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে স্থগিত করার আহ্বান জানিয়িছেন ক্যালামার্ড।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *