মোবাইলে ক্যাট ফিল্টার দিয়ে নানা হাস্যকর ছবি বানিয়ে তা ফেসবুকের মাই ডেতে দিয়ে থাকেন অনেকে।
বিষয়টি বেশ উপভোগ করেন নেটদুনিয়ার কেউ কেউ। বিশেষ করে হালের তরুণ-তরুণীরা এতে বেশ আসক্ত।
কিন্তু তাই বলে পাকিস্তান সরকারের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়া রাজনীতিবিদ এ ক্যাট ফিল্টারে মজবেন তা আশা করা যায় না।
শুধু তাই নয়, ওই সংবাদ সম্মেলনের ফেসবুক লাইভে এমন কাণ্ড ঘটেছে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার এক রাজনীতিবিদের বেলায়।
সেই লাইভ দেখে রীতিমতো হাসিতে ফেটে পড়েন দেশটির নেট ব্যবহারকারীরা। এ নিয়ে হাস্যরসে মেতে ওঠেন তারা। নানা ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করে টুইট করেছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন ক্যাট ফিল্টার ব্যবহৃত সেই রাজনীতিবিদের দৃশ্য।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভির খবরে বলা হয়, সম্প্রতি দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক সরকারের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আর সেই সম্মেলন নিয়ম মেনে ফেসবুকে লাইভে প্রচার করা হয়। কিন্ত বিপত্তি ঘটে সেখানেই।
ওই লাইভে দেখা যায়, বিড়ালের কান ও মুখে গোঁফ এঁটে বসে আছেন রাজনীতিবিদ শওকত ইউসুফজায়ি। ঠিক যেন সম্মেলনে কোনো হুলো বিড়াল বসে বক্তব্য দিচ্ছেন।
এমন ঘটনায় লাইভের কমেন্ট বক্সে হাসির রোল পড়ে যায়। সচেতনদের কেউ কেউ পেজের অ্যাডমিনকে জলদি ক্যাট ফিল্টার সরাতে বলেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, এমন বোকামোর জন্য শওকত ইউসুফজায়ি দায়ি নন।
কারণ লাইভটা প্রচার করছিল পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের সোশ্যাল মিডিয়া টিম। তারাই লাইভ ভিডিও প্রচার করার সময় ক্যাট ফিল্টার বন্ধ করতে ভুলে যান।
জানা গেছে, এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পেজের পক্ষ থেকে ভিডিওটি ডিলিট করা হয়েছে।
কিন্তু তার আগেই ক্যাটফিল্টার হওয়া দৃশ্যের স্ক্রিনশট নিয়ে নেয় অনেকেই। টুইটার ও ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে ব্যাপক হাসাহাসি চলছে।
ছবিটি শেয়ার করে পাকিস্তানের খ্যাতনামা সাংবাদিক মনসুর আলি খান টুইটারে লেখেন, সোশ্যাল মিডিয়া টিমের কল্যাণে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভায় এখন বিড়ালও আছে।
টুইটারে আরেক ব্যবহারকারী লেখেন, ফিল্টার সরাও, মানুষগুলো বিড়াল হয়ে যাচ্ছে তো।
আরেক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ইনি হচ্ছেন পাকিস্তানের সবচেয়ে কিউট পলিটিশিয়ান।