ঈদ সালামি হিসেবে ছোট বড় সবাই নতুন টাকা পেতেই পছন্দ করেন। তবে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কাজীর গাঁও গ্রামে ঘটে অন্য ঘটনা।
গত ১১ বছর ধরে এই গ্রামে শিশু, কিশোর, তরুণ, প্রবীণদের মাঝে ঈদ সালামি হিসেবে বই দিয়ে আসছে এই গ্রামের পাঠাগার ‘পড়াঘর’।
এই পাঠাগারের উদ্যোগে এ বছরও গ্রামের ঈদগাহ মাঠে প্রায় দেড়শ বই ঈদ সালামি হিসেবে উপহার দেওয়া হয়।
গ্রামের মুরুব্বিরা উপস্থিত থেকে বই বিতরণ করেন। বইয়ের সঙ্গে প্রত্যেকে দেওয়া হয় রঙিন বেলুন ও চকলেট।
এ প্রসঙ্গে পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা মূলত নতুন একটা ট্রেন্ড চালু করার জন্যই গত ১১ বছর ধরে ‘ঈদ সালামি হোক’ বই স্লােগানকে সামনে রেখে বই উপহার দিয়ে আসছি।
একই সঙ্গে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়ার অভ্যাস তৈরিতে এই উদ্যোগ কাজে লাগছে।
একটা সময় ছিল যখন আমাদের গ্রামে পাঠ্য বই ছাড়া অন্য কোনো বই দেখা যেত না। এখন আপনি ঘরে ঘরে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধের বই দেখতে পাবেন।
আমাদের এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায়ও ঈদ সালামি হিসেব বই দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়েছে। প্রতিবছর যারা আমাদের বই দিয়ে সহযোগিতা করেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, বলেন গোলাম রাব্বানী।
বই দিয়ে এবারের আয়োজনে পাশে ছিল, আলোঘর প্রকাশনী, শ্রাবণ প্রকাশনী, ইকরিমিকরি, বাবুই। মূলত গল্প, কবিতা, কমিক, ছড়া, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমণগল্পের বই ঈদ সালামি হিসেবে দেওয়া হয়।