আফগানদের বিপক্ষে টাইগারদের সংগ্রহ ২৬২ রান


বিশ্বকাপের মহারণে সেমি ফাইনালের স্বপ্নে এগিয়ে চলা টাইগাররা প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সংগ্রহ করেছে ২৬২ রান। সাউদাম্পটনের রোজ বোলে বৃষ্টি বিঘ্নিত টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ফিফটি হাঁকিয়েছেন ইনফর্ম দুই টাইগার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান। দারুণ ব্যাট করেছেন তামিম, মোসাদ্দেক, মাহমুদউল্লাহরা।

বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের শুরু থেকেই জন্ম হয়েছে বিতর্কের। লিটন দাসের আউটসহ গোটা ম্যাচ জুড়ে বেশ কয়েকবার ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আম্পায়াররা। আফগানদের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিক-সাকিব-মোসাদ্দেকদের দারুণ ব্যাটিংয়ে কাছে গিয়েও সাকিব-মাহমুদ উল্লাহর মতো বিশ্বকাপে টানা দুই সেঞ্চুরি করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। তার ৮৩ রানের ইনিংসই ভিত গড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডের। শেষের দিকে মোসাদ্দেক পূরণ করেছেন তার দায়িত্ব। খেলেছেন দারুণ এক ক্যামিও ইনিংস।

লিটন দাসের বিতর্কিত আউটের পর জুটি বেঁধে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মিশনে ছিলেন তামিম ইকবাল এবং বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দুইজনের জুটিতে এসে গিয়েছিল ৫৯ রান। তখনই ছন্দপতন। মোহাম্মদ নবির বলে বোল্ড হয়ে যান ৫৩ বলে ৩৬ রান করা তামিম ইকবাল। রশিদের বলে সাকিবের বিপক্ষেও এলবিডাব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য করে বাংলাদেশ। মুশফিকের সঙ্গে দারুণ জুটি জমে গিয়েছিল সাকিবের। এরপর চলতি বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব।

৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর ৪ বাউন্ডারিতে ৫১ রানেই মুজিব উর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। মুশফিকের সঙ্গী হন সৌম্য সরকার। ভাঙে ৬১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। পাঁচে নামা সৌম্য সরকার ভুমিকা রাখতে পারেননি। মুজিবের বলে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন ৩ রানে। রিভিউ নিয়েও সিদ্ধান্ত পাল্টানো যায়নি। ভায়রা ভাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মুশফিক। ৫৬ বলে ক্যারিয়ারের ৩৫তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। জুটিতে ৫৬ রান আসার পর গুলবাদিন নাইবের বলে ২৭ রানে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ।

উইকেটে এসে মুশফিককে দারুণ সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার ব্যাটে ছুটে স্ট্রোকের ফুলঝুরি। বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। ওভারও কমে আসছিল। ৪৯তম ওভারে রান তোলার তাড়া থেকেই দৌলত জারদানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ নবির তালুবন্দি হন ৮৭ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় ৮৩ করা মুশফিক। গুলবাদিন নাইবের করা ইনিংসের শেষ বলে বোল্ড হওয়ার আগে মোসাদ্দেক খেলেন ২৪ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৬২ রান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *