আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: কট্টর দক্ষিণপন্থী বর্ণবাদী মতাদর্শের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে বিশ্বের সব দেশের একত্রিত হয়ে লড়াই করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।
অভিবাসনের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে বর্ণবাদ বেড়ে যাচ্ছে – বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন মিজ. আরডার্ন।
গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় ৫০ জন নিহত হয় এবং আহত হন আরো অনেকে। আজ (বুধবার) নিহতদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন?
উগ্র কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদী মনোভাবের উত্থানের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মিজ আরডার্ন বলেন, “নিউজিল্যান্ডে আমরা এধরণের মতাদর্শে বিশ্বাস করি না। নিউজিল্যান্ডের মানুষের সাথে এরকম মানসিকতা মেলানো হলে অধিকাংশ নিউজিল্যান্ডারকেই অপমান করা হবে।”
তিনি বলেন, এই ধরণের ‘মানসিকতার মূল খুঁজে বের করে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন এমন মানসিকতা ছড়িয়ে পড়তে না পারে’।
“তবে আমি বিশ্বব্যাপী একটি আহ্বান জানাতে চাই। নিউজিল্যান্ডের ঘটনায় এখানকার মানুষ এমন এক ব্যক্তির সহিংসতার ভুক্তভোগী হয়েছে যে নিউজিল্যান্ডের বাইরে তার কট্টরপন্থী মতাদর্শের সাথে পরিচিত হয়েছে এবং সেখানেই এর অনুশীলন করেছে।”
“আমরা যদি নিরাপদ ও সহনশীল একটি বিশ্ব চাই তাহলে সীমানার বিষয়ে চিন্তা করলে চলবে না,” বলেন মিজ. আরডার্ন।
শরণার্থীদের গ্রহণ করার বিষয়ে নিউজিল্যান্ডের ভূমিকার প্রশংসা করে মিজ. আরডার্ন বলেন, “আমাদের দেশে মানুষকে স্বাগত জানানো হয়।”
“নিউজিল্যান্ডকে যারা নিজের দেশ মনে করে তাদের স্বাগত জানাতে গিয়ে সেরকম (কট্টরপন্থী) মতাদর্শ ছড়ানোর পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছি -এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করি আমি,” বলেন মিজ. আরডার্ন।
সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর নাম উচ্চারণ না করার যেই ঘোষণা মিজ. আরডার্ন দিয়েছিলেন, সেই প্রতিজ্ঞায়ও অনড় তিনি।
“তার সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমের মাধ্যমে অনেক কিছুই হাসিল করতে চেয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল কুখ্যাতি – তাই আমরা কখনোই তার নাম নেবো না।”