গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের কর্মসূচিতে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। বিকেল ৪টা থেকে ২ ঘণ্টা গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের একপর্যায়ে মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাম দল ৭ জুলাই হরতাল আহ্বান করেছে। আমরা এই হরতালের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ এই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেই কারণে এটা একটা যৌক্তিক হরতাল বলে আমরা মনে করি। সেই কারণেই এই হরতালে আমরা নীতিগত সমর্থন জানাচ্ছি।’
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৭ জুলাই সারা দেশে আধা বেলা হরতালের ডাক দিয়েছে বামপন্থী দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গত ৩০ জুন সব ধরনের গ্রাহক পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম গড়ে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। গ্যাসের এই বাড়তি দাম ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের ডাকা এই হরতালের কর্মসূচিকে ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, আ স ম আবদুর রবের জেএসডি সমর্থন দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটি মনে করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। শুধু দুর্নীতির যে ধাপগুলো আছে বিশেষ করে গ্যাস ও জ্বালানি তেলসংক্রান্ত, এসবকে অর্থায়ন করার জন্য মূলত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে সমগ্র অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং সেটা অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেই স্থায়ী কমিটি মনে করে। এতে করে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়বে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন কস্ট বেড়ে যাবে, সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিএনপি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১ জুলাই জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি পালন করেছে বলে জানান মহাসচিব।
বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।