রোডস যুগের অবসান


আমাকে আর ছয় মাস রাখলে আমি বাংলাটা আরও ভালোভাবে শিখে ফেলতাম’—আফগানিস্তান ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন শেষে রসিকতা করে বলেছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস। কোচের কথা ধরেই শুরু হয়েছিল গুঞ্জন, বিশ্বকাপের পরে আর বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকা হচ্ছে না রোডসের। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেশে ফেরার এক দিনের মধ্যেই সেই গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। রোডসকে বিদায় করে দিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে তাঁর চুক্তি ছিল আগামী বছর অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কিন্তু বিদায়প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে দুই পক্ষের সমঝোতায়।

রোডসের বিদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে সম্পর্কের ইতি টানা হয়েছে বলে জানান নিজামউদ্দিন, ‘স্টিভ রোডসের সঙ্গে আমরা একটা পারস্পরিক বোঝাপড়ায় এসেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একসঙ্গে কাজ না করার। বিশ্বকাপের পর প্রতিটি বোর্ডই ক্রিকেটার ও কোচদের পারফরম্যান্স পুনর্বিবেচনা করে থাকে। সেদিক থেকে আমরা বসেছিলাম। এগুলো আসলে একতরফা হয় না। দুই পক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়েই হয়। কোচ থাকতে পারবে কি পারবে না, এটা কোচের ইচ্ছার যেমন দরকার হয়, আমাদেরও সিদ্ধান্তের দরকার হয়। সেদিক থেকে দুই পক্ষই রাজি হয়েছি। বোর্ড এবং স্টিভ রোডস সমঝোতায় এসেছে আর একসঙ্গে কাজ না করার ব্যাপারে।’

রোডসের বিদায় নিশ্চিত। আর অন্যদিকে ঝুলে আছে পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের ভবিষ্যৎ। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার সঙ্গেই চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে ওয়ালশের। তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাড়ানো হবে কি না, তা পরবর্তী বোর্ড সভায় চূড়ান্ত হবে। তবে ওয়ালশের চুক্তির মেয়াদ বাড়ার সম্ভাবনা তেমন নেই।

এর মধ্যে এ মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাবে শ্রীলঙ্কায়। ওই সফরে ভারপ্রাপ্ত কোচের অধীনে খেলবে বাংলাদেশ। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরেও বাংলাদেশ ভারপ্রাপ্ত কোচ নিয়ে গিয়েছিল।