সিলেট নগরীর বাগবাড়ি এলাকার শামীমাবাদ থেকে চিকিৎসক হাবিব উল্লাহ খানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী কতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
সোমবার রাতে শামীমাবাদের ১২ রম্বর বাসা থেকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. হাবিব উল্লাহ খানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাবিব উল্লাহ খান শামীমাবাদের ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা ঢাকায় থাকেন। সোমবার তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল। সন্ধ্যার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তাঁর বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তাঁরা হাবিব উল্লাহ খানের মরদেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা বলেন, ‘চিকিৎসক হাবিব উল্লাহ খান একাই ওই বাসায় থাকতেন। গত রোববার হাসপাতাল থেকে দায়িত্ব শেষে বাড়ি ফেরার পর সোমবার তিনি আর হাসপাতালে যাননি। আমরা ওই চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’
হাবিব উল্লাহ খানের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া গ্রামে। তিনি ওসমানী হাসপাতালে শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হাবিব উল্লাহ খান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।