ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় অধ্যক্ষসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
বুধবার (১০ জুলাই) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। আর বাদীপক্ষের আইনজীবী সবুজ বাড়ই অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিন্নাত আরাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর স্কুলে পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকরা অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করার অভিযোগ এনে তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। এরপর অরিত্রীর বাবা-মা স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে টিসি (ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একইরকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত বাসায় চলে যায়। এরপর তার বাবা-মা শান্তিনগরের বাসায় গিয়ে অরিত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।
ওই ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।