ডেস্ক রিপার্ট :: পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ (এএসইবি)। বুধবার সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক এমাদুল হক বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসের অপরাধে ১৯০ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোচিং সেন্টারের কেউ জড়িত ছিল না। তবে ধারণা করা হয়, গ্রেফতারদের মধ্যে চারজন ব্যক্তি আগে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁসের আশু প্রতিকার হিসেবে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হলেও, সেই পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে প্রমাণ হয়, কোচিং সেন্টারগুলো প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যুক্ত নেই। তাই পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ না রাখার দাবি জানান।
একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় কোচিং সেন্টারগুলোকে আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, কোচিং সেন্টার পরিচালনায় একটি নীতিমালা হলে এটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে। বিচ্ছিন্নভাবে আর কেউ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নামে অনিয়ম করতে পারবে না।
বক্তারা বলেন, কোচিং সেন্টারগুলো পাবলিক পরীক্ষার জন্য বন্ধ রাখা হলে মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও দুর্বল শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অপরদিকে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকার কারণেও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পরীক্ষা চলাকালীন কোচিং সেন্টারগুলো খোলা থাকলে শিক্ষা বৈষম্য কমে আসবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার গতি অব্যাহত থাকবে ও অভিভাবকরাও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সয়গঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও মুখপাত্র মাহামুদুল হাসান সোহাগ, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহাবুব আরেফিন, সামসেয়ারা খান ডলি, আকমল হোসেন, পলাশ সরকার প্রমুখ।