নামমাত্র মূল্যে সেই ফুটওভার ব্রিজ বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলো সিসিক


সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় স্থাপন করা পদচারী সেতু (ফুটওভার ব্রিজ) নামেমাত্র মূলে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সিলেট সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর নতুন করে আবার নিলাম ডাকের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ‘পুনঃ নিলাম বিজ্ঞপ্তি’ অনুযায়ী দরপত্র বিক্রি চলবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। ২৫ জুলাই দরপত্র খোলা হবে। সিলেট সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের সিলেটের প্রথম এই পদচারী সেতুটি মাত্র ২২ লাখ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্তে বিতর্কের মুখে পড়ে সিলেট সিটি করপোরেশন।

জানা যায়, গত দরপত্রে অংশ নিয়েছিল মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে নগরের কাজিরবাজারের তাহমিদ এন্টারপ্রাইজ ২ লাখ টাকা, চাঁদনীঘাটের মো. সালেহ আহমেদ ৩ লক্ষ টাকা ও স্টেশন রোডের সিরাজুল ইসলাম ২২ লাখ টাকায় এই ফুটওভার ব্রিজ কিনতে আগ্রহী হন। ৮ জুলাই দরপত্র খোলার পর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সিরাজুল ইসলামের কাছে প্রাথামিক ভাবে সেতুটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে স্থাপনের পর থেকেই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় ২০১৭ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উপস্থিতিতে মহানগরের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে পর্যালোচনা সভায় পদচারী-সেতু স্থানান্তর করে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বরে স্থাপনের প্রস্তাব ওঠে। পরবর্তিতে দেখা যায় স্থানান্তর করতে খরচ পরবে ৪০ লক্ষ টাকা। তাই এই পদচারী-সেতু অপসারনের জন্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সিসিক।

এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত ২০ জুন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয়। ৭ জুলাই ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। ওই দিন পর্যন্ত প্রত্যাশিত দরদাতাদের অংশগ্রহণ ছিল না। পরবর্তিতে কাজীরবাজার এলাকার ৭৫ জন ভাঙারি ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে একটি গ্রুপ সিরাজুল ইসলাম নামের একজনকে দিয়ে ২২ লাখ টাকায় দরপত্রে অংশগ্রহন করান। এর প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সিরাজুল ইসলামের কাছে প্রাথামিক ভাবে সেতুটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় সিসিক।

জানা যায়, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সিরাজুল ইসলামের নামে সেতুটি কেনা হলেও এর পেছনে ছিল ৭৫ জন ভাঙারি ব্যবসায়ীর একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম নগরে একটি পদচারী সেতু স্থাপন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজেশ করে এই সেতুটি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রির বিষয়টি চূড়ান্ত করেছিল।