১১ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাভারের তুরাগ নদীতে ডুবে যাওয়া ট্যাক্সি ক্যাবের। এছাড়া ক্যাব চালকের সন্ধানও পাওয়া যায়নি। তবে এখনও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
রোববার (৪ আগস্ট) ফায়ার জোনাল কমান্ডার আনোয়ারুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, পানির নিচে কী অবস্থা সেটা অনুমান করা সম্ভব নয়। ক্যাবটি স্রোতের টানে ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে সরে যেতে পারে। আবার কোনও গর্তে আটকেও যেতে পারে। এজন্য ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
ক্যাবটির হদিস না পাওয়া গেলে কতদিন তল্লাশি চালানো হবে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। তাদের নির্দেশনা পেলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। ধারণা করছি, ক্যাব চালকের লাশ গাড়ির ভেতরেই আটকা পড়েছে। পানির মধ্যে গাড়ির গেট খুলে বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এছাড়াও পানির চাপে গাড়িটির গেট খুলে বের হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই।
মূলত চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্যই তারা এখনও উদ্ধার কাজ পরিত্যক্ত ঘোষণা না করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিখোঁজ চালকের ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, এতদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার ভাইয়ের সন্ধান বের করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা। নদীর পানি কমলে হয়তো ক্যাবটির হদিস পাওয়া যেতে পারে। তবে ততদিনে ভাইয়ের লাশ পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমিনবাজার সালেহপুর ব্রিজে একটি বাস ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হলুদ রঙের একটি ট্যাক্সি ক্যাব তুরাগ নদীতে পড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল ওই রাত থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরের দিন নৌবাহিনীর একটি দলও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। আনা হয় স্ক্যানার মেশিন। চার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে চালানো তল্লাশি। এরপরও ক্যাব ও চালকের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।