বাংলাদেশি টাকা আর ভারতীয় রুপির পার্থক্য এখন ১৪ পয়সা


ভারত সরকার মুখে স্বীকার না করলেও দেশটির অর্থনীতিতে যে মন্দা যাচ্ছে তা অনেক কিছুতেই এখন দৃশ্যমান। একের পর এক বড় সংস্থার কর্মী ছাঁটাইয়ের হিড়িক চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বিক্রি কমে গেছে। আর এসবের সরাসরি প্রভাব পড়ছে মুদ্রার দরে।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, ডলারের বিপরীতে ভারতীয় টাকার দাম ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সেই তুলনায় এশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি মুদ্রা ভারতের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকায় ভারতীয় মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার মূল্যের পার্থক্য ছিল মাত্র ১৪ পয়সা। বাংলাদেশের ১০০ টাকা দিলেই বদলে মিলছে ভারতের ৮৬ রুপি। যা ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সর্বনিম্ন। ৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর টাকা এবং রুপির দর প্রায় সমান ছিল। তারপর দিনদিন পড়তে থাকে বাংলাদেশি টাকার দাম।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্ট থেকে ভারতীয় মুদ্রার অবনতি শুরু হয়েছে। পতন এতটাই বেশি যে বাংলাদেশি টাকা আর ভারতীয় মুদ্রার পার্থক্য এখন মাত্র ১৪ পয়সা।

সোমবার দিনের শুরুতেই ডলারপ্রতি ভারতীয় রুপির দাম ৪২ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৭২.০৮। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই নিম্নমুখী প্রবণতাও বজায় থাকে। শেয়ার বাজারের কারবার শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই টাকার দামে আরও পতন ঘটে। ৫৯ পয়সা কমে গিয়ে এক সময় ১ ডলারের দাম হয় ৭২.২৫ টাকা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ঢাকার বাসিন্দারের মধ্যে ভারতীয় মুদ্রা জমানোর প্রবণতা দেখা গেছে। সস্তায় ভারতীয় মুদ্রা জমিয়ে পরবর্তীকালে কাজে লাগাতে চাইছেন তারা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *