তৃতীয় ধাপে অধিগ্রহণকৃত ২৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আত্মীকরণের কাজ শিগগির শেষ হতে যাচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর ফলে শিক্ষকরা সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চতুর্থ বৈঠকে এ তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, তৃতীয় ধাপে অধিগ্রহণকৃত ২৯১টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক আত্মীকরণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভা গত ২৮ আগস্ট ও ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিগগির শিক্ষকদের নামে আত্মীকরণে অফিস আদেশ জারি হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টেলিফোনে বলেন, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। আমরা তাদের তাড়াতাড়ি করার তাগিদ দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে বাংলাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। জাতীয়করণ প্রক্রিয়া ৩টি ধাপে বাস্তবায়ন হবে। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম ধাপ, ২০১৩ সালের পহেলা জুলাই থেকে দ্বিতীয় ধাপ এবং ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে তৃতীয় ধাপ কার্যকর হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১ম ও ২য় ধাপের সব কার্যক্রম শেষ করে শিক্ষকদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তৃতীয় ধাপে অধিগ্রহণকৃত ২৯১টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক আত্মীকরণ এখনও হয়নি।
এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ৬৪ জেলায় চলমান মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের আওতাধীন প্রায় ৪৪ লাখ নারী-পুরুষের ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ১৩৪টি উপজেলার ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জন নারী-পুরুষের ডাটাবেজ প্রস্তুত করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৬টি উপজেলার মধ্যে ১১৪টি উপজেলায় কার্যক্রম চলমান।
কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. জাকির হোসেন, ইসমাত আরা সাদেক, আলী আজম, মো. জোয়াহেরুল ইসলাম, ফেরদৌসী ইসলাম ও মো. মোশারফ হোসেন অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।