জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেনের ‘প্রত্যক্ষ মদদ’ রয়েছে উল্লেখ করে তার পদত্যাগ দাবি করেছে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
এছাড়া এই আন্দোলনে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরেরও মদদ রয়েছে দাবি করে তার বিরুদ্ধে ‘কালো’ পুস্তকে আনীত অভিযোগের তদন্ত ও বিচার করার দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের একাংশের আন্দোলনকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগ এনে শিক্ষকদের একাংশ ক্রমাগত ষড়যন্ত্রের জাল বুনে যাচ্ছেন। এর পেছনে বর্তমান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন এবং সাবেক উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ফোন বন্ধের মামুলি অজুহাতে প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বর্জন করে তিনি প্রমাণ করেছেন ষড়যন্ত্রে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। উপাচার্যকে সরিয়ে তিনি নিজে অথবা তার কোনো গুরুজন উপাচার্যের পদে বসতে চান। অথচ তিনি ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষে আপন ভাগ্নেকে ভর্তি করতে গিয়ে ‘দুর্নীতি পরায়ণতা এবং নৈতিক অসচ্চরিত্রতা, অসদাচরণ’-এর অভিযোগের দায় নিয়ে এক যুগ ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এছাড়া বিবৃতিতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেনের পদত্যাগ ও ভর্তি কেলেঙ্কারির তদন্ত শেষ করে তার শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
আন্দোলনে সংশ্লিষ্টতা এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের আগের রাতে আমার মুঠোফোন বন্ধ করা হয়েছিল। এর পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। উপাচার্য আমাকে বিভিন্ন সময় তার দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি আমার আদর্শ হতে বিচ্যুত হতে চাইনি। তাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
এদিকে উপাচার্যপন্থী শিক্ষক সংগঠনটির অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।