ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সে হল পরিদর্শক ছাড়াই এক শিক্ষার্থীর একদিনে তিন কোর্সের পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভাগের স্টোর রুমে ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়। তখন ভেতর থেকে লক করে তাকে নকলের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদুর রহমান টিটুকে সান্ধ্যকালীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বিষয়টি জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন নবম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর ১ম সেমিস্টারের পরীক্ষা নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিধি লঙ্ঘন করে ওই একই শিক্ষার্থীর একদিনে টানা ৯ ঘণ্টায় তিনটি (১০৫, ১০৬, ১০৭) কোর্সের পরীক্ষা নেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি। পরীক্ষা তিনটি কোনো ক্লাসরুমে না নিয়ে বিভাগের স্টোর রুমে নেয়া হয়। যেখানে কোনো পরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন না।
পরিদর্শক না থাকায় ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অসাধুপায় অবলম্বন করেন। পরীক্ষা চলাকালীন একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও ওই বিভাগের সভাপতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে নকলরত অবস্থায় হাতেনাতে ধরেন।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরুন্নাহার বলেন, ছাত্র উপদেষ্টা আমাকে নিয়ে স্টোর রুমে গেলে তখন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। পরে ওই ছাত্রকে নকলরত অবস্থায় হাতেনাতে ধরি। এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরুন্নাহার ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এসব অভিযোগ পৃথকভাবে লিখিত আকারে জমা দেন। পরে অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিধি লঙ্ঘন করে একদিনে তিন কোর্সের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যথাযথভাবে প্রণয়ন না করাসহ হল পরিদর্শক ছাড়াই বিভাগের কর্মচারীর মাধ্যমে প্রশ্ন ও খাতা সরবারহ করে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
তিন আরও বলেন, এ ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী ড. সাজ্জাদুর রহমান টিটুকে পরীক্ষার শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সান্ধ্যকালীনসহ সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।